Main Comtent Skiped
Wellcome to National Portal

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম

শহর সমাজসেবা (ইউসিডি) কার্যক্রম

 

শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম শহর এলাকার উন্নত জীবন এবং যত্নশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে শহর এলাকার পিছিয়েপড়া ও সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়নের অভিলক্ষ্যে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিতকরণ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ, সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হচ্ছে।

 

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এদেশে ভারত থেকে মোহাজেরদের আগমন ঘটে। এতে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যার উদ্ভব ঘটে। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ থেকে প্রেরিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার ১৯৫৫ সালে Dhaka Urban Community Development Board গঠন করে। এ বোর্ডের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকার কায়েতটুলিতে ১৯৫৫ সালেই পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প (Urban Community Development Project (UCDP) চালু করা হয়। একই সালে এ প্রকল্পের সফলতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচশালা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ঢাকা শহরের গোপীবাগ, লালবাগ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এ কার্যক্রমের সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৬০ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে এই প্রকল্পের অধীনে ১২ টিসহ মোট ১৬টি ইউনিটের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৯৬১ সালে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পর এই প্রকল্পের ক্রমবর্ধমান সফলতা এবং প্রসার অব্যাহত থাকে। শহর এলাকায় বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে জুন ১৯৯৬ পর্যন্ত এ কার্যক্রমকে ৪৩টি ইউনিটে উন্নীত করা হয়। ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে জুলাই ১৯৯৬ সালে ‘শহর সমাজসেবা কর্মসূচির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ-১ম পর্ব’ নামে উন্নয়ন খাতে আরও ৭টি শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে মোট ইউনিট সংখ্যা ৩৪টি জেলায় ৫০টিতে উন্নীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২-২০০৫ অর্থ বছরে ‘শহর সমাজসেবা কর্মসূচির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ-২য় পর্ব’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের অবশিষ্ট ৩০টি জেলায় ৩০টি ইউনিট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে সকল সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরসহ সর্বমোট ৮০ টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের রূপকল্প, অভিলক্ষ্য এবং লক্ষ্য অর্জনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতাধীন একটি উন্নয়নমূলক কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতাভুক্ত এলাকার যুব সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী। প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এদেশের শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৬ লক্ষ তে পৌঁছবে। এ বিশাল মানব সম্পদকে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদফতর পিছিয়েপড়া, সমস্যাগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কর্মদক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ও সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত পদ্ধতিতে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

 

রূপকল্প (Vision)

শহর এলাকার নিম্ন আয়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং যত্নশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা।

 

অভিলক্ষ্য (Mission)

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে শহর এলাকার পিছিয়েপড়া ও সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়ন।

 

                  

 

লক্ষ্য (Goals)

(১)     স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকাণ্ডের সমন্বয় এবং নিবন্ধনে সহায়তাকরণ;

(২)     বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবামূলক উদ্যোগ উৎসাহিতকরণ;

(৩)    পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন, নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ সুদৃঢ়করণ;

(৪)     কর্মদলগঠনের মাধ্যমে সংগঠিতকরণ;

(৫)     দলীয় সদস্যদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা এবং সঞ্চয় সৃষ্টির মাধ্যমে নিজস্ব তহবিল গঠন;

(৬)    মা ও শিশুর যত্ন; প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা; আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা; নিরাপদ পানি ব্যবহার; স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার; সাক্ষরতা; পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন; বাল্যবিবাহ, যৌতুকপ্রথা, নারী ও শিশু নির্যাতন-পাচার, ইভ-টিজিং ও এসিড সন্ত্রাস প্রতিরোধ; তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ; শিশুশ্রম রোধ; ধূমপান ও মাদকসেবন নিরুৎসাহিতকরণ; প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, সুখী পরিবার গঠন ইত্যাদি সামাজিক কার্যক্রমে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ;

(৭)     সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কারিগরি-বৃত্তিমূলক ও উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ প্রদান;

(৮)    মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা;

(৯)   শহর এলাকার ভিক্ষুক এবং হিজড়া এই দুইশ্রেণির জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে উৎপাদনমূলক ও আয়বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন;

(১০)   সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমূলক ও আয়বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন;

 (১১) সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বার্থে অধিদফতর ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশী ও বিদেশী দাতা সংস্থার সহায়তায় MoU ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ; এবং

(১২)  সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন।

 

কৌশলগত উদ্দেশ্য (Strategic Objectives)

 

()    সমন্বয়সাধন;

()    সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি;

()    দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান; এবং              

()    সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান।

 

 

সমন্বয় পরিষদ

 

(১)  স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকাণ্ডের সমন্বয়, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবামূলক উদ্যোগ উৎসাহিতকরণ এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর অধীন একটি সমন্বয় পরিষদ গঠিত হবে।

 

(২)     উপঅনুচ্ছেদ ১ অনুসারে গঠিত সমন্বয় পরিষদ ‘সমন্বয় পরিষদ, শহর সমাজসেবা কার্যালয়,…’ নামে অভিহিত হবে।

(৩)    উপঅনুচ্ছেদ ১ অনুসারে গঠিত সমন্বয় পরিষদ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধীকরণ/নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে পরিচালিত হবে।

সমন্বয় পরিষদের কর্মপরিধি।–   

              

(১)    স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর তফসিলে বর্ণিত কার্যক্রমের সাথে সংগতিপূর্ণ কার্যক্রম সমন্বয় পরিষদের কর্মপরিধি হবে।

 

(   সংশ্লিষ্ট নিবন্ধীকরণ/নিবন্ধকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে নীতিমালার আলোকে সমন্বয় পরিষদ যেকোনো আয়-বর্ধক কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারবে।

 

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম

 

বাংলাদেশের অগণিত দরিদ্র পরিবারের ক্ষুদ্রঋণের চাহিদা আদিকাল থেকেই একটি চলমান বাস্তবতা। অসচ্ছলতা ও প্রতিনিয়ত নানামুখী ঝুঁকি মোকাবিলায় যুদ্ধরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৯৮০-৮১ অর্থবছর হতে শহর সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কোভিড ১৯ এর প্রভাবে রুদ্ধ প্রায় জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে, শহর সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নপূর্বক জাতীয় উন্নয়নের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা:

লক্ষ্যভুক্ত পরিবার : আর্থ-সামাজিক জরিপের মাধ্যমে লক্ষ্যভুক্ত পরিবার নির্বাচন করে পরিবারগুলোকে ৩ (তিন) টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।

(ক) পারিবারিক বার্ষিক গড় আয়: ০-২,০০,০০০ টাকা -‘ক’ শ্রেণি (দরিদ্রতম)

(খ) পারিবারিক বার্ষিক গড় আয়: ২,০০,০০১-৩,০০,০০০ টাকা -‘খ’ শ্রেণি (দরিদ্র)

(গ) পারিবারিক বার্ষিক গড় আয়: ৩,০০,০০১ টাকা-তদুর্ধ্ব-‘গ’ শ্রেণি (সচ্ছল)।

‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণির পরিবার এ কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে।

 

ঋণসীমা :  জন প্রতি ১০,০০০/- থেকে ৫০,০০০/- টাকা। শহর সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত কর্মীর সনদ থাকা সাপেক্ষে 1 লক্ষ টাকা সুদমুক্ত বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

ঋণ পরিশোধের সময়সীমা : ৫% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধযোগ্য।

 

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

কেন্দ্রিয় পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদফতরের শহর সমাজসেবা কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক এবং মাঠপর্যায়ে ৮০ জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।

জেলা পর্যায়ের ৬৪টি জন উপপরিচালক ও ১০০ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। শহর সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কার্যক্রমটির বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। শহর সমাজসেবা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট জেলার উপপরিচালক কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। পৌর সমাজকর্মী ও কারিগরি প্রশিক্ষকগণ ওয়ার্ড পর্যায়ে সেবা গ্রহীতাগণের সাথে সরাসরি কাজ করে থাকেন। শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী যুক্ত কম্পিউটার অপারেটর, পৌর সমাজকর্মী ও কারিগরি প্রশিক্ষকগণের কার্যক্রম তদারকী করেন এবং কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সহায়তা করেন।

 

সেবাদান কেন্দ্র: ৮০ টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়।

 

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি (ইউসিডিপিআইসি) কর্তৃক নির্বাচিত ওয়ার্ডে পৌর সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক কর্তৃক পরিবার জরিপ সম্পন্নকরণপূর্বক  ক ও খ  গ্রুপভুক্ত পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে কর্মদল গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রত্যেক দলীয় সদস্যকে ২০ টি সামাজিক কার্যক্রম অবহিতপূর্বক অভ্যস্ত করানো হয়। অতঃপর ওয়ার্ড কমিটি বা কর্মদল হতে প্রস্তাবিত ঋণ প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক আবেদনপত্রসহ খসড়া তালিকা সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক দাখিল করেন এবং আদায়কৃত সঞ্চয় প্রকল্প ওয়ার্ড বা কর্মদলের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। প্রস্তুতকৃত খসড়া তালিকা, আবেদনপত্র, স্কিম পৌর সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক কর্তৃক পরীক্ষান্তে সুপারিশসহ শহর সমাজসেবা অফিসারের নিকট দাখিল করেন। অতঃপর শহর সমাজসেবা অফিসার (ইউসিডিপিআইসি) সভার আয়োজন করে ঋণ অনুমোদন করেন। অবশেষে নির্বাচিত ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে ঋণের চেক/নগদ টাকা বিতরণের স্থান, তারিখ নির্ধারণ করে তাদের অবহিতপূর্বক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

ডিজিটাইজেশন

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের যাবতীয় কার‌্যাবলী একটি ছাতার নিচে আনয়নের জন্য ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্হাপনা সফটওয়্যার (mcms) পরিক্ষ্যামূলকভাবে শহর সমাজসেবা কার্যালয় ঢাকা-৪ এ চলমান রয়েছে । পরবর্তীতে ৮০ টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম উক্ত সফটওয়্যারের অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

 

উপকারভোগীদের অবহিতকরণ প্রশিক্ষণ:

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার, কর্মদলের দায়িত্ব এবং উপকারভোগীদের নানা সামাজিক বিষয়ে সচেতন করার লক্ষে মাঠ পর্যায়ে শহর সমাজসেবা কার্যালয়গুলোতে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের পূর্বে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে উপকারভোগীদের ব্যবসা ও অন্যান্য পেশা ভিত্তিক বিষয়ে ফলো-আপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সাধারণত মোট 30 জন উপকারভোগী নিয়ে প্রতিটি প্রশিক্ষণ ব্যাচ পরিচালনা করা হয়। প্রশিক্ষণ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বমোট ৪ টি কিস্তিতে ৩৭ টি কার্যালয়ে মোট ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

শহর সমাজসেবা কার্যক্রম (ইউসিডি) এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি

  • ক্ষুদ্রঋণ হিসাবে সর্বমোট বরাদ্দের পরিমাণ : ৮৩ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮৯ হাজার  টাকা
  • ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিনিয়োগকৃত মূল অর্থের পরিমাণ:  ৭২ কোটি ০৭  লক্ষ টাকা
  • মূল অর্থ আদায়ের পরিমাণ:  ৫৬ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা   
  • মূল অর্থ আদায়ের হার: ৯১%
  • ক্রমপুঞ্জিত পুনঃবিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ : ১০৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা     
  • ক্রমপুঞ্জিত পুনঃবিনিয়োগের অর্থ আদায়ের হার:  ৯২.৯%
  •  সার্ভিস চার্জ বিনিয়োগ ও পুনঃবিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ: ১৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা
  • প্রাপ্ত ব্যাংক সুদের পরিমাণ : ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা 
  • উপকারভোগীদের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের পরিমাণ : ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা
  • শুরু হতে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা: ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৮৭ টি পরিবার
  • কারিগরী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃতের সংখ্যা : ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার  ৮৮৭ জন
  •  

বাজেট

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাজেটে ‘শহর সমাজসেবা কার্যক্রম: আবর্তক ক্ষুদ্রঋণ’ (কোড নং ১২০০১৩২০১) খাতে মোট ১৫০০.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যান্য অনুদান (আবর্তক অনুদান/ক্ষুদ্রঋণ) (কোড নং ৩৬৩১১৯৯) খাতে ১৩৯০.০০ লক্ষ টাকা। 

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র:

  • সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির পর ২য় মাস হতে সমান ১০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ৫ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দেয়া;
  • দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করা;
  • কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলা;
  • কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;
  • সঠিক ওয়ার্ড ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা;
  • ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা।

 

প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ:

  • বিনামূল্যে